ব্যবসায় মূলধন কি ?

ব্যবসায় মূলধনঃ হিসাববিজ্ঞানের ভাষায়, মূলধন (Capital) হলো সেই আর্থিক সম্পদ বা অর্থ যা কোনো ব্যবসা শুরু করতে, চালাতে এবং বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যবসার মালিক বা অংশীদারদের দ্বারা বিনিয়োগ করা মোট সম্পদকে বোঝায়। এক কথায়, ব্যবসা শুরু করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, যেমন—টাকা, সম্পত্তি, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম ইত্যাদি, সেগুলোর মোট মূল্যই হলো মূলধন।

মূলধনের প্রকারভেদ

হিসাববিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে মূলধনকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়:

১. স্থায়ী মূলধন (Fixed Capital) এই ধরনের মূলধন দিয়ে এমন সব সম্পদ কেনা হয় যা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা যায় এবং যার কোনো দ্রুত পরিবর্তন হয় না। যেমন—জমি, দালানকোঠা, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ইত্যাদি। এই সম্পদগুলো ব্যবসার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বারবার ব্যবহার করা হয়।

২. চলতি মূলধন (Working Capital) চলতি মূলধন হলো ব্যবসার দৈনন্দিন খরচ মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ। এটি দিয়ে কাঁচামাল কেনা, কর্মচারীদের বেতন দেওয়া, ভাড়া পরিশোধ করা, বিদ্যুৎ বিল দেওয়া ইত্যাদি কাজ করা হয়। চলতি মূলধনের পরিমাণ সাধারণত খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়।

৩. মালিকানা মূলধন (Owner’s Equity) এটি হলো মালিক বা অংশীদারদের দ্বারা সরাসরি বিনিয়োগ করা মূলধন। এটি ব্যবসার মোট সম্পদ থেকে মোট দায় বাদ দিয়ে পাওয়া যায়। অর্থাৎ, যদি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সব ঋণ শোধ করার পর মালিকের হাতে যে অর্থ বা সম্পদ থাকবে, তাই হলো মালিকানা মূলধন।

৪. ঋণ মূলধন (Debt Capital) ব্যবসা যখন বাইরের কোনো উৎস থেকে, যেমন—ব্যাংক থেকে ঋণ বা বন্ড বিক্রি করে টাকা সংগ্রহ করে, তখন তাকে ঋণ মূলধন বলে। এই ধরনের মূলধনের ওপর সুদ দিতে হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পর তা ফেরত দিতে হয়।

সংক্ষেপে বলা যায়, মূলধন হলো যেকোনো ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র। এটি ছাড়া ব্যবসা শুরু করা বা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সুষ্ঠুভাবে মূলধন পরিচালনা করলে ব্যবসা লাভজনক ও টেকসই হয়।

মূলধন হিসাব রাখার পদ্ধতি – অভয় লেনদেন একাউন্টিং সফটওয়্যার

শেয়ার হোল্ডার হিসাব রাখার পদ্ধতি – অভয় লেনদেন একাউন্টিং সফটওয়্যার