ব্যবসায় দুতরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতি ব্যবহারের সুবিধা অপরিসীম। আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত ও পূর্ণাঙ্গ হিসাব পদ্ধতি হওয়ায় দুতরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতির ব্যবহার সমগ্র বিশ্বব্যাপী ।
ব্যবসায় দুতরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতির ব্যবহারের সুবিধা সমূহ
হিসাববিজ্ঞানের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞানসম্মত পূর্ণাঙ্গ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসাব সংরক্ষণ পদ্ধতি হচ্ছে দু তরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতি। এই হিসাব পদ্ধতির বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। এর সুবিধা গুলো নিচে বর্ণনা করা হলো :
১. পরিপূর্ণ হিসাব সংরক্ষণ : প্রতিটি লেনদেনকে ডেভিড ও ক্রেডিট বিশ্লেষণ করে সমপরিমাণ টাকায় লিপিবদ্ধ করা হয় বলে যে কোন লেনদেনের পূর্ণাঙ্গ হিসাব জানানো যায় ।
২. লাভ লোকসান নিরূপণ: এই পদ্ধতিতে ব্যবসায়ের মুনাফা জাতীয় আয় ব্যয়ের পরিপূর্ণ ও সঠিক হিসাব সংরক্ষণ করা হয় বলে নির্দিষ্ট সময় পরে বিশদ আয় বিবরণী তৈরীর মাধ্যমে ব্যবসায়ের নীট মুনাফা বা লোকসান নির্ণয় করা যায়।
৩. গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই : প্রতিটি লেনদেনের ডেবিট পক্ষের বিপরীতে সমপরিমাণ অঙ্কের ক্রেডিট দাখিলা লিপিবদ্ধ করতে হয়। ফলে কোন নির্দিষ্ট তারিখে রেওয়ামিল প্রস্তুত করে হিসাবে গাণিতিক নির্ভরতা যাচাই করা যায় ।
৪. আর্থিক অবস্থা নিরূপণ : একটি নির্দিষ্ট তারিখে আর্থিক অবস্থার বিবরণী তৈরির মাধ্যমে কারবারের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
৫. ভুল ত্রুটি ও জালিয়াতি উদঘাটন ও প্রতিরোধ : এই পদ্ধতি হিসাব সংরক্ষণ করলে খুব সহজেই ভুল ত্রুটি ও জালিয়াতে চিহ্নিত করে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা যায়।
৬. ব্যয় নিয়ন্ত্রণ: এই পদ্ধতিতে অতিরিক্ত ব্যয় সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।
৭. মোট দেনা পাওনার পরিমাণ নির্ণয় : এই পদ্ধতিতে হিসাব রাখার ফলে ব্যবসায়ের মালিক যে কোন সময় তার মোট পাওনা ও দেনা পরিমাণ নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে ।
৮. সঠিক কর নির্ধারণ : এই পদ্ধতিতে সঠিক হিসাব রাখার ফলে এর ভিত্তিতে নির্ণীত বিভিন্ন কর যথা আয়কর, ভ্যাট, আমদানি শুল্ক ও রপ্তানি শুল্ক ইত্যাদি কর কর্তৃপক্ষের নিকট গ্রহণযোগ্য হয় ।
৯. সহজ প্রয়োগ : দু তরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতিতে প্রতিটি লেনদেন কে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ডেবিট ক্রেডিট বিশ্লেষণ করে লিপিবদ্ধ করা হয়। তাই ছোট ,বড় সকল প্রতিষ্ঠানেই এই পদ্ধতির সহজে ব্যবহার করা যায়।
১০. সর্বজনীন স্বীকৃতি : দুতরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতি একটি বিজ্ঞানসম্মত, পূর্ণাঙ্গ, নির্ভুল, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি বিধায় সমগ্র বিশ্বে এই পদ্ধতি একটি সর্বজন স্বীকৃত পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
এছাড়া আরো অনেক সুবিধা ব্যবসায় দুতরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতি ব্যবহারে
প্রতিটি লেনদেন হিসাব নির্ভুল ও সঠিক হিসাব লিপিবদ্ধ করা যায়। এই পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে, হিসাব কালের মধ্যে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে ব্যবসার বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ গতিবিধি অনুধাবন করা যায় । প্রতিটি লেনদেন ডেবিট ও ক্রেডিট বিশ্লেষণ করে সমপরিমাণ টাকায় লিপিবদ্ধ করা হয় বলে ব্যবসায়ের সামগ্রিক ফলাফল নির্ণয় করা খুব সহজ হয় ।
দু তরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতিতে হিসাব রাখার সহজ উপায় হচ্ছে আধুনিক, বিজ্ঞানসম্মত দু তরফা দাখিলা পদ্ধতির একাউন্টিং সফটওয়্যার ব্যবহার।
একটি আধুনিক, পূর্ণাঙ্গ, নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞানসম্মত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ দু তরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতির একাউন্টিং সফটওয়্যার হলো অভয় লেনদেন।
বিস্তারিত জানতে বা ব্যবহার শুরু করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
www.avoylenden.com