ব্যবসায় দুতরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতির ব্যবহারের সুবিধা সমূহ

You are currently viewing ব্যবসায় দুতরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতির ব্যবহারের সুবিধা সমূহ
ব্যবসায় দু তরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতি ব্যবহারের সুবিধা

ব্যবসায় দুতরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতি ব্যবহারের সুবিধা অপরিসীম। আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত ও পূর্ণাঙ্গ হিসাব পদ্ধতি হওয়ায় দুতরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতির  ব্যবহার সমগ্র বিশ্বব্যাপী ।

দু-তরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতি কি?

ব্যবসায় দুতরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতির ব্যবহারের সুবিধা সমূহ

হিসাববিজ্ঞানের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞানসম্মত পূর্ণাঙ্গ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসাব সংরক্ষণ পদ্ধতি হচ্ছে দু তরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতি। এই হিসাব পদ্ধতির বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। এর সুবিধা গুলো নিচে বর্ণনা করা হলো : 

১. পরিপূর্ণ হিসাব সংরক্ষণ : প্রতিটি লেনদেনকে ডেভিড ও ক্রেডিট বিশ্লেষণ করে সমপরিমাণ টাকায় লিপিবদ্ধ করা হয় বলে যে কোন লেনদেনের পূর্ণাঙ্গ হিসাব জানানো যায় ।

২. লাভ লোকসান নিরূপণ: এই পদ্ধতিতে ব্যবসায়ের মুনাফা জাতীয় আয় ব্যয়ের পরিপূর্ণ ও সঠিক হিসাব সংরক্ষণ করা হয় বলে নির্দিষ্ট সময় পরে বিশদ আয় বিবরণী তৈরীর মাধ্যমে ব্যবসায়ের নীট মুনাফা বা লোকসান নির্ণয় করা যায়।

৩. গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই : প্রতিটি লেনদেনের ডেবিট পক্ষের বিপরীতে সমপরিমাণ অঙ্কের ক্রেডিট দাখিলা লিপিবদ্ধ করতে হয়। ফলে কোন নির্দিষ্ট তারিখে রেওয়ামিল প্রস্তুত করে হিসাবে গাণিতিক নির্ভরতা যাচাই করা যায় ।

৪. আর্থিক অবস্থা নিরূপণ : একটি নির্দিষ্ট তারিখে আর্থিক অবস্থার বিবরণী তৈরির মাধ্যমে কারবারের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

৫. ভুল ত্রুটি ও জালিয়াতি উদঘাটন ও প্রতিরোধ : এই পদ্ধতি হিসাব সংরক্ষণ করলে খুব সহজেই ভুল ত্রুটি ও জালিয়াতে চিহ্নিত করে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা যায়।

৬. ব্যয় নিয়ন্ত্রণ: এই পদ্ধতিতে অতিরিক্ত ব্যয় সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।

৭. মোট দেনা পাওনার পরিমাণ নির্ণয় : এই পদ্ধতিতে হিসাব রাখার ফলে ব্যবসায়ের মালিক যে কোন সময় তার মোট পাওনা ও দেনা পরিমাণ নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে ।

৮. সঠিক কর নির্ধারণ : এই পদ্ধতিতে সঠিক হিসাব রাখার ফলে এর‌ ভিত্তিতে নির্ণীত বিভিন্ন কর যথা আয়কর, ভ্যাট, আমদানি শুল্ক ও রপ্তানি শুল্ক ইত্যাদি কর কর্তৃপক্ষের নিকট গ্রহণযোগ্য হয় ।

৯. সহজ প্রয়োগ : দু তরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতিতে প্রতিটি লেনদেন কে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ডেবিট ক্রেডিট বিশ্লেষণ করে লিপিবদ্ধ করা হয়। তাই ছোট ,বড় সকল প্রতিষ্ঠানেই এই পদ্ধতির সহজে ব্যবহার করা যায়।

১০. সর্বজনীন স্বীকৃতি : দুতরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতি একটি বিজ্ঞানসম্মত, পূর্ণাঙ্গ, নির্ভুল, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি বিধায় সমগ্র বিশ্বে এই পদ্ধতি একটি সর্বজন স্বীকৃত পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

এছাড়া আরো অনেক সুবিধা ব্যবসায় দুতরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতি ব্যবহারে

প্রতিটি লেনদেন হিসাব নির্ভুল ও সঠিক হিসাব লিপিবদ্ধ করা যায়। এই পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে, হিসাব কালের মধ্যে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে ব্যবসার বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ গতিবিধি অনুধাবন করা যায় । প্রতিটি লেনদেন ডেবিট ও ক্রেডিট বিশ্লেষণ করে সমপরিমাণ টাকায় লিপিবদ্ধ করা হয় বলে ব্যবসায়ের সামগ্রিক ফলাফল নির্ণয় করা খুব সহজ হয় ।

দু তরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতিতে হিসাব রাখার সহজ উপায় হচ্ছে আধুনিক, বিজ্ঞানসম্মত দু তরফা দাখিলা পদ্ধতির একাউন্টিং সফটওয়্যার ব্যবহার‌

একটি আধুনিক, পূর্ণাঙ্গ, নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞানসম্মত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ দু তরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতির একাউন্টিং সফটওয়্যার হলো অভয় লেনদেন।
বিস্তারিত জানতে বা ব্যবহার শুরু করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
www.avoylenden.com

Leave a Reply